লেখক উমর ফারুকের জন্মদিন আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)। তিনি একাধারে সাংবাদিক,কলামিস্ট প্রাবন্ধিক, কবি, কথাসাহিত্যিক, গীতিকার, মাসিক ভাষাতরী পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক ও ভাষাতরী প্রকাশনের প্রকাশক। ভাষার মাস আর বইমেলার মাসে কবিকে জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা।
এবারের বইমেলায় উপন্যাস কাব্যগ্রন্থ ‘গল্পগ্রন্থ প্রবন্ধসহ বিষয়ভিত্তিক মোট ১৬ টি গ্রন্থ পাওয়া যাচ্ছে। শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিসহ বহুপ্রতিভার অধিকারী উমর ফারুককে জন্মদিনের হার্দিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর পিতা মাথা স্ত্রী সন্তান ভাই বোন পাঠক-পাঠিকা দর্শক শ্রোতা ও বন্ধু-স্বজন।
জন্মদিনে পিতা মাতা স্ত্রী ভাইবোন আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব পাঠক পাঠিকা শুভাকাঙ্ক্ষী ও সুধীজনসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন কবি। তাঁর একমাত্র ছেলে আইমান সাম্যের সাথে জন্মদিনে বেশি সময় কাটাবে বলে জানায় কবি। এর পর বইমেলায় যাবেন তিনি।
১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদুল্যা তেলীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক। তিনি মো. গোলাম হোসেন সরকার ও আনোয়ারা বেগমের ৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড়।পড়ালেখা বেড়ে ওঠা চিলমারীতে। লেখালেখির নেশা থেকে ১৯৯৮ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে। রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিজলী, নাগেশ্বরী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দুধকুমর ও রৌমারী পাক্ষিক দ্বীপদেশ এ কাজ করেন। এর পাশাপাশি চিলমারী থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনপ্রাণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সম্পাদক ও পরে পদোন্নতি পেয়ে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এরপর ২০০৪ সালে ঢাকায় এসে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে লেখালেখি শুরু করেন। পরে পর্যায়ক্রমে দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক মানবকণ্ঠ, দৈনিক আজকের পত্রিকা, দৈনিক জনতা, দৈনিক আজকালের খবর, দৈনিক বর্তমান, দৈনিক নতুন সংবাদ দৈনিক সংবাদ সারাবেলায় সিনিয়র রির্পোটার হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
লেখক ভারতের (কলকাতা) থেকে বিভূতিভূষণ সাহিত্য পদক-২০২২, সব্যসাচী সাহিত্য পদক-২০১৮ ও নব জিজ্ঞাসা সাহিত সম্মাননা পান। ঢাকা রির্পোটাস ইউনিটি থেকে কথাসাহিত্যিক হিসেবে সম্মাননা- পান। জাতীয় মানবাধিকার পদক-২০১২, হাছন রাজা স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০১০ লাভ করেন। রংপুর ছান্দসিক সাহিত্য সেরা কবি ২০০৮ নির্বাচিত হন। অপরাজিতা সাহিত্য পদক লাভ করেন। বাংলাদেশ সাহিত্য পরিষদ হতে ছান্দসিক কবি পদক-২০০২ এ ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংষ্কৃতিক সংগঠণ থেকে সংবর্ধিত হন।
লেখক সৃজন সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির কাগজ ‘জ্ঞানদীপ’ ও বেলা অবেলা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে সরকারি ডিক্লেয়ারেশনপ্রাপ্ত শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ‘ মাসিক ভাষাতরী’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ভাষাতরী প্রকাশনের প্রকাশক।
তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইগুলো হচ্ছে, ১) প্রেম শুধু কাঁদিয়ে গেল, (উপন্যাস) ২) নিমর্ম নিয়তি, (উপন্যাস) ৩) যন্ত্রণার পদাবলি, (উপন্যাস) ৪) মেঘে ঢাকা চাঁদ, (উপন্যাস) ৫) হৃদয় ভাঙা ঢেউ, ( গল্পগ্রন্থ), ৬) হৃদয়ের পরবাসে, (কাব্যগ্রন্থ), ৭) ঝরা ফুলের গন্ধ (গল্পগ্রন্থ) ৮) যে রাতের দিন হয় না (উপন্যাস) ৯) লুণ্ঠিত শিহরণ (উপন্যাস) দ্রোহের উপধারা (কাব্যগ্রন্থ)। লেখক গীতিকার হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। তার লেখা গানের এলবাম হচ্ছে- প্রেমের কবিতা ও অন্তর কাঁদে। এছাড়াও তার রচিত অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে। তার লেখা নাটক টিভিতে প্রচারিত হয়েছে, টেনশন ডটকম ও এক খণ্ড মন। অভিনয় করেছেন টেলিছবি ‘গন্ধব’ নাটক ৪২০ গরম পানি লেনসহ বেশ কয়েকটি নাটকে। এছাড়াও অসংখ্য মিউজিক ভিডিও তে অভিনয় করেছেন।
সাংবাদিক উমর ফারুক জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)র সদস্য। রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি (আরডিজেএ)’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ঢাকাস্থ কুড়িগ্রাম সমিতির আজীবন সদস্য। চিলমারী সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন